লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আধারে পলাশী বাজারের পর হতে শ্রুতিধর পর্যন্ত ১২.৬ কিলোমিটার কাজ চলছে। রাতের অন্ধকারে মহাসড়কের কাজ চলায় কাজের মান নিয়ে ঐ এলাকার জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১২.৬ কিলোমিটার কাজের জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর এ কাজটি পেয়েছে ময়েন উদ্দিন বাসী নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, রাত ১১ টায় মহাসড়কের কার্পেটিং এর কাজ পুরো দমে চলছে। তদারকিতে দেখা গেল না সংশ্লিষ্ট দপ্ততরের কোন কর্মকর্তাকে।
আগের কার্পেটিং তুলে ও ভেঙ্গে যাওয়া পাড় মেরামত করার জন্য মাটি দিয়ে সড়কের দু পার্শ্ব উচু করে রাখা হয়েছে। আর বর্ষা মৌসুম হওয়া বৃষ্টির পানিতে সেই মাটি পুরো সড়কে ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও মাটি দেবে গেছে।
সড়কের উপরের মাটি পরিস্কার না করে ও দেবে যাওয়া যায়গা পূণরায় মেরামত না করে কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। এতে সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এলাকাবাসী জানান, আমরা সাধারন মানুষ জানি রাস্তার এই কাজ দিনের আলোতেই হওয়ার কথা।কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্টান রাতের আধারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সিডিউল অনুযায়ী সঠিক পরিমান বিটুমিন না দিয়ে কার্পেটিং এর কাজ করছে।
নিয়ম অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও তারা সেখানে কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের সিডিউল ফাঁকি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা। রাতে কাজ করার ব্যাপারে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিতো আপনাদের দেখলাম না,আমি সাইডেই ছিলাম। রাত কয়টার সময় ছিলেন এ প্রশ্নের জবাবে ভূলভাল কথাবার্তা বলেন। এতেই বুঝা যায় কাজের মান কেমন হচ্ছে।